October 23, 2024, 12:28 pm
এস, এম, মনির হোসেন জীবন – রাজধানীর রূপনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের এক সক্রিয়
সদস্য’কে গ্রেফতার করেছে এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ আতিকুর রহমান আতিক (৩৯), জেলা- পটুয়াখালী।
এসময় তার কাছ থেকে ১ টি ট্যাব, ১ টি মোবাইল, ১ টি ওয়াইফাই রাউটার, ২ টি আইডি কার্ড, ৫০ টি ভিজিটিং কার্ড ও ৫ টি হার্ড ফাইল উদ্ধার মুলে জব্দ করা হয়।
র্যাব জানান, এ পর্যন্ত প্রতারক আতিক বিভিন্ন এলাকায় ভূয়া পরিচয় দিয়ে মোট ৮ জন নারীকে বিবাহ করেছে । পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় তার নামে একটি ধর্ষন মামলা রয়েছে।
এলিট ফোর্স র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল আজ সোমবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রোরবার রাজধানীর রূপনগর থানার ইষ্টার্ণ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য আতিকুল ইসলাম আতিককে বিভিন্ন মালামাল সহ গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতারক মোঃ আতিকুর রহমান আতিক (৩৯) ১৯৮২ সালে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সিদ্ধিরগঞ্জ স্থানীয় স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ‘ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা খুলে তিনি নিজেই তার প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। কথিত মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে তার পরিচয় হয়। মূলত সেখান থেকেই তার প্রতারণা কার্যক্রম শুরু হয়।
র্যাব জানিয়েছে, ধৃত আসামী বিভিন্ন ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছে ভুয়া পরিচয় দিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী অফিস খুলে চাকুরী দেওয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধার এ সমস্ত কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের নিকট হতে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করে আসছিল বলে র্যাব জানান।
দেশের বিভিন্ন নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের ব্যবহার করে জোরপূর্বক জমি ও টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে তা আত্মসাত করতো। সে চলাফেরা করেন আলিশান গাড়িতে, সব সময় যেনো মিটিং লেগেই আছে।
র্যাব-৪ সূএে জানা যায়, এ আতিকুর রহমান আতিক তার সুন্দর চেহারার মোহে বিভিন্ন নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সেগুলোর গোপন ভিভিও ধারণ করে তাদেরকে ফাঁদে ফেলত এবং সেই ভিডিও কাজে লাগিয়ে সে নারীদেরকে বিভিন্ন অপকর্মে কাজ করাতে বাধ্য করত।
এছাড়া সে বিভিন্ন এলাকার নারীদের সাথে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। এ পর্যন্ত সে বিভিন্ন এলাকায় ভূয়া পরিচয় দিয়ে মোট
৮ জন নারীকে বিবাহ করেছে বলে জানা যায়।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) জানান, তাদের সাথে কিছু দিন সম্পর্ক রাখার পর প্রতারণাপূর্বক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় তার নামে একটি ধর্ষন মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি তার প্রতারনা করার কথা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।